প্রতিদিন অসংখ্য দেশি-বিদেশি পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে যান। সমুদ্র দর্শন এবং সি-বিচে বিনোদন করাসহ নির্দিষ্ট কিছু স্থান পরিদর্শন করেন তারা। ভ্রমণ শেষে জানতে পারেন এখানে আরো দর্শনীয় স্থান ছিল। তখন তাদের মনে আফসোস হতে থাকে। আজকের ব্লগে তুলে ধরা হল কক্সবাজার ভ্রমণ গাইড। পর্যটকের সামনে এ গাইড থাকলে কক্সবাজার ভ্রমণ থেকে ফিরে আর আফসোস করতে হবে না। পাশপাশি কক্সবাজার ভ্রমণ হয়ে উঠবে অর্থবহ। চলুন দেখে নেই কী আছে আজকের ভ্রমণ গাইডে।
ভ্রমণের তথ্য দিয়ে এবং ভ্রমণে খাওয়া-দাওয়া, হোটেল বুকিং, ট্রান্সপোর্টপ্রাপ্তি এবং দর্শনীয় স্থান পরিদর্শনে যিনি বা যে বই একজন পর্যটককে সহযোগিতা করে থাকে তাকে ভ্রমণ গাইড বলা হয়।
নিচে কক্সবাজার ভ্রমণ গাইড তুলে ধরা হল। এ গাইডের মাধ্যমে কক্সবাজার ভ্রমণের আদ্যোপান্ত জানা যাবে:
বছরের যে কোনো সময় কক্সবাজার ভ্রমণে যাওয়া যায়। একেক সময় একেকরকম আনন্দ উপভোগ করা যায়। তবে শীতকাল কক্সবাজার ভ্রমণের উপযুক্ত সময়। এ সময় সমুদ্র শান্ত থাকে, চাইলে সেন্টমার্টিন ভ্রমণে যাওয়া যায়। বৃষ্টি বাদল না হওয়ায় শীতকালে পুরো কক্সবাজার নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়ানো যায়।
যদি কেউ অল্প খরচে কক্সবাজার ভ্রমণের চিন্তা করে থাকেন তাহলে শীতকালে কক্সবাজার ভ্রমণে না যাওয়াই ভালো। কারণ শীতকালে হোটেল ভাড়া ও খাবারের খরচসহ সবকিছুর খরচ বেড়ে যায়।
সড়ক, রেল ও আকাশপথে কক্সবাজার যাওয়া যায়। সড়কপথে কক্সবাজার যেতে চাইলে ঢাকা কল্যাণপুর, কলাবাগান, আরামবাগ বা সায়েবাদ বাস কাউন্টারগুলোতে গিয়ে এসি বা নন-এসি বাসের টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। রেলপথে যেতে চাইলে কমলাপুর রেলস্টেশন বা অনলাইন থেকে টিকিট সংগ্রহ করা যাবে। আকাশপথে যেতে চাইলে এয়ারলাইন্সের নির্দিষ্ট অফিসে গিয়ে বা অনলাইন থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে হবে।
সাধারণত যেসব খাবার খাওয়া হয় কক্সবাজার গিয়ে সেসব না খেয়ে স্থানীয় সুস্বাদু খাবারের স্বাদ নেওয়া যেতে পারে। যেমন:
কক্সবাজারের যে কোনো স্থানে বিভিন্ন মানের রেস্তোরা গড়ে উঠেছে, যেখানে সুবিধা হয় খেয়ে নেওয়া যেতে পারে। তবে উল্লেখযোগ্য কিছু রেস্তোরা হল:
কক্সবাজারে শপিং করার জন্য বীচের পাশেই অনেকগুলো মার্কেট পাবেন। এ মার্কেটগুলো থেকে বার্মিজ চকলেট, আচার, জুতা, জামাকাপড়, মুক্তার জিনিসপত্র ও শুঁটকি ইত্যাদি কিনতে পারবেন। এছাড়াও আচার কেনার জন্য বার্মিজ মার্কেট এবং শামুক, মুক্তা ও ঝিনুক কিনতে ঝিনুক মার্কেটে যেতে পারেন।
কক্সবাজারে চলাফেরা করার জন্য প্রাইভেটকার, জিপ গাড়ি, চান্দের গাড়ি, রিক্সা, অটো রিক্সাসহ মোটামুটি সব ধরনের যানবাহন ভাড়ায় পাওয়া যায়। বাজেট ও লোকসংখ্যা অনুযায়ী আপনার পছন্দের বাহন ভাড়া করে নিতে পারেন।
শহরের ভেতর বা আাশপাশে চলাফেরা করার জন্য অটো রিক্সা ভালো। ইনানী বা মেরিন ড্রাইভে যাওয়ার জন্য চাঁন্দের গাড়ি ও সিএনজি ভালো।
কক্সবাজার থেকে জিপে করে প্রথম যেতে হবে টেকনাফ। টেকনাফ থেকে সি-ট্রাক, জাহাজ কিংবা ট্রলারে চড়ে পৌঁছাবেন সেন্টমার্টিনে। প্রতিদিন সকালে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে জাহাজ ছেড়ে যায় এবং বিকেল ৩টায় সেন্টমার্টিন ছেড়ে আসে।
সারসংক্ষেপ
সাম্পান বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড ক্যাফে কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভে অবস্থিত। এ রিসোর্টে কাপল ডিলাক্স, ফ্যামিলি সুইট, এক্সিকিউটিভ শেয়ারিং, ফ্যামিলি ডিলাক্স, ডরমেটরি রুম রয়েছে। রয়েছে প্রাইভেট বীচ ভিউ, ক্যান্ডেল লাইট ডিনার, বিবিকিউ পার্টি ও প্যারাসেলিংসহ নানান সুযোগ সুবিধা। কক্সবাজার ভ্রমণে আপনার নির্ভরযোগ্য ঠিকানা হতে এই রিসোর্ট।
রুম বুকিংয়ের জন্য কল করুন